ভূমিকাঃ
সুদীর্ঘ রক্তক্ষরী স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রায় ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে ঠাঁই করে নিয়েছে। যে বিশাল প্রত্যাশা নিয়ে এদেশের মেহনতি মানুষ অপরিমেয় ত্যাগ স্বীকার করেছিল সে প্রত্যাশা অপূর্ণই রয়ে গেছে। আমরা নানা কারণে তৃতীয় বিশ্বের অনুন্নত একটা গরীব দেশে পরিণত হরে আছি। কিন্তু আমরা নিয়তিবাদ বা অনিয়মের দাসত্বে বন্ধী নই। তাহলে আমাদের সমস্যা কোথায়? আমাদের সমস্যা আর্থ-সামাজিক, আমরা ক্রমবর্ধমান অগণতান্ত্রিক রাজনীতির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি, না পারছি রাজনৈতিক সংস্কার ঘটাতে, না পারছি সুস্থ গণতান্ত্রিক রাজনীতির পেক্ষাপট তৈরি করতে। তাই সর্বার্থে মনে করি এ দেশের রাজনীতিকগণ সার্বজনিন দেশ গড়ার লক্ষে যে কাজ করা উচিত ছিল তা করতে যুগে যুগে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। আজ অশিক্ষা, অপ-রাজনীতি এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ আমাদের বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, হতে উত্তোরণের পথ জনগণকে সাথে নিয়ে প্রকৃত দেশপ্রেমিক রাজনৈতি- কদের খুঁজতে হবে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এদেশের শাসন ক্ষমতায় থাকা দলগুলো গোটা জাতিকে হতাশ করেছে। রাষ্ট্র ক্ষমতাকে নির্লজ্জভাবে ব্যক্তি ও গোষ্ঠিস্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। ধারাবাহিক দেশ উন্নয়নের সম্প্রসারণনীতি হতে উন্নয়নের টাকা বা রাষ্ট্রীয় সম্পদ দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নানা কৌশলে মুন্ঠন চলছে। জাতীর রাজনীতিকে সংকীর্ণ গভীর নিষ্ঠুর জাঁতাকলে পিষ্ঠ করে সমস্যার জালে আবদ্ধ করা হচ্ছে গোটা জাতিকে।
বাংলাদেশের রাজনীতির মূল ভীতি হয়ে উঠেছে সুবিধাবাদ। এই সুবিধাবাদের রাজনীতি জাতীয় রাজনীতি থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায়ে নেতাদের মধ্যে ক্রমান্বয়ে ভাইরাসের মত বিস্তার লাভ করছে। দীর্ঘ প্রায় পয়তাল্লিশ বছরে সুবিধাভোগি রাজনৈতিক প্রবনতা থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিকগণ বেড়িয়ে আসতে ব্যর্থ হয়েছে এবং এখনও হচ্ছেন। দেশ আজ এক সংঘাতমর অবস্থার মোকাবেলা করছে। ক্ষমতা চিরস্থায়ী করণের লক্ষ্যে বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলগুলোর অগণতান্ত্রীক প্রক্রীয়া গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করেছে। ফলে মুক্তিযোদ্ধের চেতনা বাস্তাবায়ন ব্যাহত হচ্ছে। যার পরিণামে বিবাদমান সংঘাত সৃষ্টির মাধ্যমে গোটা জাতিকে এক ভয়াবহ নিষ্ঠুর বাস্তবতার মুখোমুখি করে তুলেছে। জাতির এই দুঃসমরে আজ প্রয়োজন দেখা দিয়েছে সুস্থ রাজনীতির। জাতি আজ এই দুর্নীতি, অপ-রাজনীতি ও দুঃশাসনের কবল থেকে মুক্তি চায় ।
দুঃশাসনের যাতাকল হতে যুক্ত হওয়া আজ গোটা জাতির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে পরিগণিত। তাই এ মুহুর্তে প্রয়োজন দেখা দিয়েছে অসুস্থ ধারার এই অপ-রাজনীতির বেড়াজাল হতে নতুন রাজনীতির দ্বার উন্মোচন । সকল দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামের মাধ্যমে দুর্নীতিমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশকে বিশ্ব মানচিত্রে এক স্বাধীন ও উন্নত জাতি হিসেবে মর্যাদাশূন্য অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। এই অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে গঠিত হয়েছে, “ন্যাশনাল কংগ্রেস বাংলাদেশ” নামে একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতির উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। যে দল দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এদেশে গণতন্ত্রকে সু-সংহত করার জন্য সঠিকভাবে কাজ করছে। “ন্যাশনাল কংগ্রেস বাংলাদেশ” (এন.সি.বি) এদেশে পেশাজীবি, কৃষক, শ্রমিক দেশের অথযাত্রার উন্নয়নকামী জনগণকে সাথে নিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিশ্বাস করে। তাই উন্নত গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার জনগণের আকাঙ্খার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকল ধর্মের লোকদের সাথে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজার রেখে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে।
"ন্যাশনাল কংগ্রেস বাংলাদেশ” (এন.সি.বি) বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, রাজনৈতিক স্বাধীনতার মূল্যবোধ, গণতন্ত্রের সঠিক বাস্তবায়ন, সমাজ সংস্কৃতিক উন্নয়নে ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং ধর্মীর অধিকার প্রয়োগে সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এদেশের যেনতী মানুষের প্রতিনিধি হরে দেশের মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে ২০১৩ ইং সন হইতে দেশের বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, প্রবীণ রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন জ্ঞানী-গুনী ব্যাক্তিবর্গের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা পর্যালোচনা করে মুসলিম, হিন্দু ও খ্রিষ্টান সহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্ভিদের সমন্বরে ২০১৫ইং সনের ৯ই সেপ্টেম্বর সম্পূরকভাবে এক প্রতিনিধি সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাহী কমিটি গঠন পূর্বক ন্যাশনাল কংগ্রেস বাংলাদেশ (এন.সি.বি) নামক এই রাজনৈতিক দলের আত্ম-প্রকাশ ঘটে।
“ন্যাশনাল কংগ্রেস বাংলাদেশ” (এন.সি.বি) মনে করে :
- সার্বিক জাতীয় ঐক্য : জাতীয়তাবাদ ও জাতীয় পরিচয় নিয়ে অহেতুক বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সমাজের সকল অংশে সম-অংশীদারীত্বের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি সুসংহত জাতিস্বত্ত্বা নির্মাণ।
- ভারসাম্যময় সরকার পদ্ধতি : বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্রকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহন করে একটি সার্বভৌম স্বাধীন জাতীয় সংসদীয় পদ্ধতি প্রতিষ্ঠাকরণের পাশাপাশি রাষ্ট্রির প্রশাসনে জবাবদিহিতা ও ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা।
- গণমূখী অর্থনীতি ঃ সম্পদের সুষম বন্টন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে একটি জাতীয় গণমূখী অর্থনীতি প্রতিষ্ঠাকরণের চূড়ান্ত লক্ষ্যে বাংলাদেশকে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর কল্যাণমূখী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা।
- তৃনমূল গণতন্ত্র : রাষ্ট্রীয় জনপ্রশাসনে জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণসহ প্রশাসনিক বিকেন্দ্রিকরণের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারসমূহের ক্ষমতারন ও তৃনমূল পর্যায়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা।
- সার্বজনীন শিক্ষা : সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যাহাতে প্রতিটি মানুষ শিক্ষালাভের সম-সুযোগ লাভ করে এবং জাতীর শিক্ষানীতিকে ঢেলে সাজানো, যাহাতে প্রজন্ম একক জাতীর ভাবধারার উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি শক্তিশালী জাতি সত্ত্বার বিকশিত হয়।
- জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণ : বিশ্বে জনস্বীকৃত সকল মৌলিক মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকারের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন ও বাস্তবায়নে নিষ্ঠার সাথে কর্ম-পরিকল্পনা গ্রহন সার্বভৌমত্ত্ব ও সমতার ভিত্তিতে।
- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক : বিশ্বের সকল দেশের সাথে রাষ্ট্র ও জাতিসত্বার সার্বভৌম সমতা, সহমর্মিতা, ও পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে অকৃত্রিম বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলা ।
- জাতীয় প্রতিরক্ষা : জাতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, আধুনিক প্রযুক্তিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সকল স্তরে যেমন, স্থলসেনা, নৌসেনা, বিমানসেনা, বিজিবি, পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আধুনিক রণসজ্জিতকরণে তাদের কর্মের মুল্যায়ন করা ও যুগোপযোগী ব্যবস্থা গ্রহন।
- সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও স্বক্রীয়তার স্বাক্ষর : আবহমান বাংলার ঐহিত্য ধারণ ও বাংলা ভাষাকে বিশ্বমর জাতিগত পরিচয়ের বাহক হিসেবে গৌরবের সাথে তুলে ধরা।
- স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা : স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে সুসংহত শক্তিশালীকরণ।
সুস্থ গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতি প্রচারের মাধ্যমে সরকারকে গতিশীল ও বিকেন্দ্রীকরণ শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে সমগ্রদেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা।
- কৃষি উন্নয়ন : আধুনিক কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অগ্রাধিকার নিশ্চিতকরণসহ আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি, ফার্টিলাইজার, উন্নত বীজ, কীটনাশক তথা কৃষিতে প্রয়োজনীয় সকল উপকরণের আধুনিকরণ ও যথাযথ প্ররোগ ব্যবস্থা গ্রহন।
- শিল্পায়ন : শিল্পনীতির ক্ষেত্রে বৃহদায়তন উপাদান ও মৌলিক শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাকল্পে ব্যবস্থা গ্রহন, উৎপাদনে উৎসাহ ও যথাযথ সংরক্ষণ নীতি গ্রহন। শিল্প উন্নয়নের লক্ষ্যে অনকূল শুল্ক ব্যবস্থা নির্ধারণ। দেশি কাঁচামাল ভিত্তিক শিল্প কারখানা সরকারী ও বেসরকারীভাবে শিল্প উদ্যোগতাদের জন্য সংরক্ষণ নীতি গ্রহন। উন্নয়ন ও শিল্পারন উৎসাহিত করতে দেশের বিভিন্ন এলাকার শিল্পাঞ্চল বা শিল্প এলাকা স্থাপন করণ। বিদেশী বিনিয়োগকারীর জন্য পরিবেশ সৃষ্টিকরণে বিভিন্ন মুখি পদক্ষেপ গ্রহন ।
- বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা : দেশে বর্তমানে অবস্থিত বিদ্যুৎ প্লান্টগুলোকে সচল করণ। নতুন তেল, করলা, গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্লান্ট গঠন কল্পে কাজ করা। নবায়নযোগ্য জ্বালানী অবকাঠামো তৈরিতে অগ্রাধিকার প্রদান করা। পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে স্থাপন বিষরে যাচাই বাচাই করে দেশে তা স্থাপন উপযুক্ত হলে পদক্ষেপ গ্রহন। বিদ্যুৎ বিষয়ে সমস্ত বিষয়গুলো জনগনের গোচরীভূত তরে চুক্তি সম্পাদন। পানি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদান প্লান্ট স্থাপন । বিদ্যুতের টেকসই উন্নয়নে চাহিদা যোগানের ঘাটতি পূরণে সরকারি বেসরকারি সমন্মর উদ্যোগ গ্রহন ।
- আভ্যন্তরিন নিরাপত্তা : পুলিশ ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পুরনো আইন সংশোধন করে যুগোপযোগি করণ। আইন শৃংখলা উন্নয়নের লক্ষ্যে পুলিশ বাহিনীর সদস্য বাড়ানো, মহিলা পুলিশ নিয়োগ পুলিশি সুযোগ সুবিধা বাড়ানো। পুলিশ বাহিনীর কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বিধানে কার্যক্রম তত্ত্বাবধানে পুলিশ ইন্টিলিজেন্স গোয়েন্দা ইউনিট প্রতিষ্ঠা করণ। একইভাবে আর্মি, বিজিবি, আনসার, ভিডিপি ও এয়ার ফোর্স, নেভি আধুনিকিকরণে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহন।
- জাতীয় প্রতিরক্ষা : জাতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, আধুনিক প্রযুক্তিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সকল স্তরে যেমন, স্থলসেনা, নৌসেনা, বিমানসেনা, বিজিবি, পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আধুনিক রণসজ্জিতকরণে তাদের কর্মের মুল্যায়ন করা ও যুগোপযোগী ব্যবস্থা গ্রহন। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও স্বক্রীয়তার স্বাক্ষর : আবহমান বাংলার ঐহিত্য ধারণ ও বাংলা ভাষাকে বিশ্বমর জাতিগত পরিচয়ের বাহক হিসেবে গৌরবের সাথে তুলে ধরা।
- জনপ্রশাসন : জনপ্রশাসন আধুনিকীকরণ করে পদক্ষেপ গ্রহন প্রশাসনের সমস্ত মন্ত্রণালয়ে বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন এবং কঠোর হস্তে তা তদারকি- করন।
- বিমান বাংলাদেশ ও রেলওয়ে : বাংলাদেশ বিমানকে উন্নয়ন কল্পে নানামুখি যুগোপযোগি ব্যবস্থা গ্রহন। রেলওয়ের উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহন করা স্বল্প খরচে যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহন করা।
- শিল্প রক্ষনাবেক্ষন : বিশেষ করে গার্মেন্টস শিল্প, চা শিল্প, তামাক শিল্প, চিনি শিল্প, ঔষধ শিল্প, চামড়া শিল্প, করলা, গ্যাস, মৎস্য, পাট শিল্প বিশেষ উন্নয়ণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন।
- ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ ঃ শিল্প উদ্যোক্তা বা বিনিয়োগকারী, আমদানী রপ্তানী বানিজ্যএবং দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সম্পাদনের জন্য জ্বালানী, বিদ্যুৎ, বন্দর শিল্প জোন, রাস্তাঘাট পরিবহন অবকাঠামো নির্মাণে পদক্ষেপ গ্রহন। যোগাযোগের ক্ষেত্রে সড়ক, রেল, বন্দর, নৌপথ উন্নয়ন অব্যাহত রেখে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন পদক্ষেপ।
- অর্থনীতি : দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে গতিশীল করতে নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহন, দেশের ব্যাংকিং, ইনসিওরেন্স, কুরিয়ার, অন্যান্য অর্থনীতি সংক্রান্ত সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সমূহকে আধুনিকীকরন অর্থনীনিতর মূল ধারায় নারীর সম্পৃক্তা বাড়ানো। জাতীয় প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ানো কার্যকারী পদক্ষেপের মাধ্যমে অর্থনীতির সহিত গ্রামীণ অর্থনীতির সমন্মায় ঘটানো।
- জ্বালানী নিরাপত্তা : বাৎসরিক ৮-১০% অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য মাত্রা ধরে জ্বালানী নিরাপত্তার পদক্ষেপ গ্রহন। দেশের চাহিদা মেটানোর জন্য জ্বালানী নিরাপত্তার পদক্ষেপ গ্রহন এবং দেশের ভূ-ভাগের ও সমুদ্র তেল, গ্যাস, অনুসন্ধান, আহরণে গুরুত্ব আরোপ করা। জ্বালানী নিরাপত্তা ও আহরণ জোরদার করতে বাপেক্স আরও শক্তিশালী ও করণে পদক্ষেপ। দেশের করলা সম্পদ রক্ষণনীতি শক্তিশালী ও উত্তোলন উন্মুক্ত পদ্ধতিঅনূসরণ করণ।
- নারীর ক্ষমতার নারী ও শিশুর নিরাপত্তা : যৌতুক ও বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধ করণসহ সব ধরনের নারী নির্যাতন ও নিপিড়নের বিরুদ্ধে কঠোর শান্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহন। নারীর যথাযথ সম্মান ও নারীর কর্মস্থলে তার যথাযথ মর্যাদা বৃদ্ধি ও তার শিশুর জন্য বিশেষ করে গামেন্টস শিল্পে শিশুর যত্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা। নারী শিক্ষা নারীর স্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে নানামূখি অবকাঠামো গড়ে তোলা। শিশুকে যথাযথ পরিচর্যা করে যুগোপযোগী ব্যবস্থা গ্রহন।
- জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি : যুগোপযোগী স্বাস্থ্যনীতি গ্রহন। বাংলাদেশে ব্যাপকহারে প্রতিবছর জনসংখ্যা বৃদ্ধি জনস্বাস্থ্যের প্রতি হুমকি। ব্যাপক জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারনে প্রতি লক্ষ্য রেখে জনগণের দোর গোড়ার স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দিতে কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও ওয়ার্ড পর্যারে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র গড়ে তোলার পদক্ষেপ গ্রহন। সরকারী হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ বৃদ্ধিকরণ, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে প্রত্যেক ডাক্তারকে ৬ মাস বাধ্যতামূলক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ওয়ার্ড কমপ্লেক্স গুলোতে প্রয়োজনে কাজ করার বিধান বহাল করণ। স্বাস্থ্য সেবার মান যুগোপযোগি পদক্ষেপ গ্রহন করা।